79°F রবিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ০৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
মেনু

যমুনা অয়েলে তেল চুরির অভিনব কৌশল: জাল সনদ দিয়ে ট্যাংকলরির ধারণক্ষমতা গোপন

Online Desk, Boston Bangla

প্রকাশ: ৩১ আগস্ট ২০২৫ | নিউজটি দেখেছেন: ১১
যমুনা অয়েলে তেল চুরির অভিনব কৌশল: জাল সনদ দিয়ে ট্যাংকলরির ধারণক্ষমতা গোপন

সরকারি প্রতিষ্ঠান যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডেজ্বালানি তেল চুরির একঅভিনব ঘটনা ফাঁস হয়েছে।এখানে একটি ট্যাংকলরির প্রকৃতধারণক্ষমতা গোপন করে জালিয়াতিরমাধ্যমে চুক্তি করা হয়েছে। সাড়ে১৩ হাজার লিটারের একটি ট্যাংকলরিকে চুক্তিতে৯ হাজার লিটারের বলে উল্লেখ করাহয়।

যমুনা অয়েলের একাধিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ নাকরার শর্তে জানিয়েছেন, এই অভিনব কৌশলেরউদ্দেশ্য ছিল লরির বাড়তিধারণক্ষমতা ব্যবহার করে ডিপোর বাইরেতেল পাচার করা। অভিযোগ উঠেছেযে, এই জালিয়াতির সঙ্গেযমুনা অয়েলের কয়েকজন কর্মকর্তা এবং ট্যাংকলরির মালিকজড়িত।

সূত্রমতে, গত ২৭ জুলাইখুলনার দৌলতপুর ডিপো থেকে তেলপরিবহনের জন্য মেসার্স আছিয়াএন্টারপ্রাইজের একটি ট্যাংকলরির সঙ্গেচুক্তি হয়। কিন্তু রামপালবিদ্যুৎকেন্দ্রে ডিজেল পাঠানোর পর ট্যাংকলরিটির ধারণক্ষমতারঅসামঞ্জস্য ধরা পড়লে বিদ্যুৎকেন্দ্রেরকর্মকর্তারা ডিজেল নিতে অস্বীকৃতি জানান।

বিষয়টি সামনে আসার পর ট্যাংকলরিমালিক ও শ্রমিকেরা যমুনাঅয়েলের কাছে আপত্তি জানান।তাদের মতে, এটি একটিগুরুতর জালিয়াতি, কারণ সাড়ে ১৩হাজার লিটারের লরিকে ৯ হাজার লিটারেরবলে চুক্তিবদ্ধ করার কোনো নিয়মনেই।

যমুনা অয়েলের কাগজপত্র অনুযায়ী, চুক্তিতে থাকা ট্যাংকলরিটির (ঢাকামেট্রো-ঢ-৪২-০০১২) বিএসটিআই (বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন) সনদ জমা দেওয়াহয়েছিল, যেখানে এর ধারণক্ষমতা ৯হাজার লিটার দেখানো হয়। তবে প্রথমআলোর অনুসন্ধানে জানা যায়, ওইসনদটি জাল। বিএসটিআই খুলনারবিভাগীয় কার্যালয় নিশ্চিত করেছে যে, সনদে স্বাক্ষরকারীকর্মকর্তা জানুয়ারিতেই বদলি হয়েছেন এবংতার স্বাক্ষর করার কোনো সুযোগনেই।

ট্যাংকলরির মালিক মো. মানিক শেখভুল করে এই চুক্তিহয়েছে বলে দাবি করলেও, ১৮ আগস্ট তিনি যমুনা অয়েলেরকাছে চুক্তি বাতিলের জন্য একটি চিঠিদেন। যমুনা অয়েলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুস্তফা কুদরত-ই ইলাহী বলেন, লরিটির বাস্তব ধারণক্ষমতা ও সনদের তারতম্যেরকারণে চুক্তি বাতিল করা হয়েছে এবংপুরো বিষয়টি তদন্ত করা হবে।

তবে যমুনা অয়েলেরকর্মকর্তারা বলছেন, এই ধরনের জালিয়াতিরমূল উদ্দেশ্যই হলো তেল চুরিকরা। তারা জানান, প্রতিটিলরিতে কিছু অতিরিক্ত তেলদেওয়া হয় যা পরে ‘কারিগরি ক্ষতি’ হিসেবে দেখানো হয়। সাড়ে চারহাজার লিটার বাড়তি সক্ষমতা গোপন করার ঘটনাথেকেই চুরির উদ্দেশ্য স্পষ্ট বলে তারা মন্তব্যকরেন।