70°F শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
মেনু

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল: আপিল বিভাগের ঐতিহাসিক রায় ও রাজনৈতিক প্রভাব

Online Desk, Boston Bangla

প্রকাশ: ২০ নভে ২০২৫ | নিউজটি দেখেছেন: ২০
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল: আপিল বিভাগের ঐতিহাসিক রায় ও রাজনৈতিক প্রভাব

সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী আবারও বৈধ ঘোষণা করেছে আপিল বিভাগ, ফলে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান পুনরায় কার্যকর হলো। বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) সকাল ১০টায় প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমদের নেতৃত্বে সাত সদস্যের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এ গুরুত্বপূর্ণ রায় দেন।

রায়ে উল্লেখ করা হয়—আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হবে। তবে চতুর্দশ জাতীয় নির্বাচন থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা আবার কার্যকর হবে।

এর আগে ৬ নভেম্বর রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিলের পূর্বের রায় সমাজ ও সাংবিধানিক কাঠামোতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। তার ভাষায়, “মৃত ব্যক্তিও রাতে ভোট দিতে পারে”—এমন অস্বাভাবিক পরিস্থিতিও দেশের মানুষ দেখেছে।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা এবং এর বৈধতা নিয়ে দীর্ঘ আইনি ইতিহাস রয়েছে। ১৯৯৬ সালে সংবিধানে তা যুক্ত হওয়ার পর ১৯৯৮ সালে এম. সলিমউল্লাহসহ তিনজন হাইকোর্টে রিট করেন। ২০০৪ সালে হাইকোর্ট তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থাকে বৈধ ঘোষণা করে রিট খারিজ করে দেয়। পরবর্তী সময়ে ২০০৫ সালের আপিলটি ২০১১ সালে আপিল বিভাগে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতে বৈধ বলে ঘোষণা হয়।

২০১১ সালের ৩০ জুন পাস হয় পঞ্চদশ সংশোধনী, যেখানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলোপ করা হয়। একই বছরের ৩ জুলাই এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশিত হয়।

সরকার পরিবর্তনের পর গত বছরের ৫ আগস্ট সুজনের সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচজন বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোফাজ্জল হোসেন রিভিউ আবেদন করেন। এরপর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর (১৬ অক্টোবর) এবং জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার (২৩ অক্টোবর) পৃথকভাবে পুনর্বিবেচনার আবেদন দাখিল করেন।

২১ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে ২২, ২৩, ২৮, ২৯ অক্টোবর এবং ২, ৪, ৫ ও ৬ নভেম্বর টানা শুনানির পর আজ ঘোষিত রায় দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।