জাহিদ মালেকের নেতৃত্বে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ২০১৪-২০২৪ সালের প্রায় পুরো সময়টা কাজের বাইরে গেল অভিযোগের ছোঁয়ায়। প্রতিমন্ত্রী ও পরবর্তীতে পূর্ণ মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করার সময়ে, জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার পরিবর্তে অনেকেই বলছেন, প্রতিষ্ঠানটি গুটিকয়েক প্রভাবশালী ও ঠিকাদার নিয়ে গঠিত সিন্ডিকেটের কাছে পরিণত হয়েছিল।
ঠিক আছে, কিছু প্রমাণাদি এরকম:
- মূল্যবৃদ্ধি ও মানহানির অভিযোগ: করোনাকালে রোগ-প্রতিরোধী সরঞ্জামাদি (PPE, মাস্ক, অন্যান্য নিরাপত্তা উপকরণ) বাজারদরের তুলনায় অনেক বেশি দামে কেনা হয়েছে বলেও নিউজ এবং গবেষণায় এসেছে। কিছু ক্ষেত্রে নিম্নমানের সামগ্রী সরবরাহ করা হয়েছে।
- ঠিকাদারি ও উন্নয়ন প্রকল্পে পারিবারিক ও রাজনৈতিক প্রভাব: যেমন ক্ষেত্রে দরপত্র ও কাজের স্বীকৃতি পেতে প্রভাবশালীদের হস্তক্ষেপ ছিল। উন্নয়ন বাজেট বাড়লেও বিদ্যমান স্বাস্থ্যব্যবস্থার রক্ষণাবেক্ষণে বরাদ্দ কম হওয়ায় অনেক হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র কার্যক্ষমতায় নেই।
- অধিকার ও অর্থের অপব্যবহার: বিদেশে প্রশিক্ষণ, বিমান ভাড়া, কর্মসূচি উন্নয়ন খাতে অতিরিক্ত ব্যয় দেখানো হয়েছে। অভিযোগ আছে যে কিছু প্রতিষ্ঠানের নির্বাচনের ক্ষেত্রে মান বা প্রয়োজন মাথায় রাখা হয়নি।
- দুর্নীতির তদন্ত ও আইনি প্রক্রিয়া: কর ফাইল এবং ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ করা হয়েছে, আর কয়েকটি মামলায় গ্রেপ্তার ও দোষী সাব্যস্ত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তবে অনেক অভিযোগ এখনও উপযুক্ত প্রশাসনিক বা বিচারিক কর্তৃপক্ষের দায়ের নয়।
এই প্রসঙ্গে, জনসাধারণ ও স্বাস্থ্য সেবার চাহিদাকারীদের মধ্যে ধারণা রয়েছে যে দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা স্বাস্থ্যখাতকে আইসিইউতে ফেলেছে — প্রতিষ্ঠান “চলছে নামমাত্র” তত্ত্বাবধানে, প্রয়োজনীয় পরিষেবা দিতে পারছে না। সতর্কবার্তা হিসেবে, স্বচ্ছ ও জনগণমনস্ক ব্যবস্থাপনা না হলে বিশ্বাসহীনতার পারদ বাড়বে এবং সেবার মান ক্ষুণ্ন হবে।