মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে রায়ের তারিখ ঘোষণাকে ঘিরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা সর্বোচ্চ পর্যায়ে নেওয়া হয়েছে।
সকাল থেকেই ট্রাইব্যুনালের প্রধান ফটক, সুপ্রিম কোর্ট এলাকা এবং আশপাশের প্রতিটি প্রবেশপথে সেনাবাহিনী, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও পুলিশের বিপুলসংখ্যক সদস্য মোতায়েন রয়েছেন।
প্রবেশের সময় আইনজীবী ও সাংবাদিকদের পরিচয় যাচাই করে তবেই ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।
আজ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদার এর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল শেখ হাসিনাসহ তিনজনের মামলার রায়ের তারিখ ঘোষণা করবেন। এই গুরুত্বপূর্ণ দিনকে কেন্দ্র করে নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ “ঢাকা লকডাউন” কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বলে সূত্রে জানা গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সংলগ্ন এলাকায় সেনাবাহিনী, র্যাব, বিজিবি, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) সদস্যরা কড়া অবস্থানে রয়েছেন। এলাকাজুড়ে সাঁজোয়া যান রাখা হয়েছে, এবং টহলদল সার্বক্ষণিক নজরদারি চালাচ্ছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এক কর্মকর্তা জানান, “যে কোনো ধরনের নাশকতা বা অস্থিতিশীলতা প্রতিরোধে রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।” আজ রাজধানীতে প্রায় ১৭ হাজার ডিএমপি সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন, পাশাপাশি সেনাবাহিনী ও বিজিবির সদস্যরাও মাঠে রয়েছেন।
এর আগে বুধবার রাত থেকেই ঢাকার প্রবেশপথগুলোতে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। আজও সেই কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। বিভিন্ন হোটেল, মেস ও আবাসিক এলাকায় সন্দেহভাজনদের ধরতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
সকালে রাজধানীর সড়ক পরিস্থিতি ছিল মোটামুটি স্বাভাবিক, যদিও অন্যান্য দিনের তুলনায় ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা কিছুটা কম। তবে সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট ও ট্রাইব্যুনালমুখী সড়কে পুলিশের বাড়তি সতর্কতা স্পষ্টভাবে চোখে পড়েছে।
সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে যৌথ বাহিনীর টহল অব্যাহত রয়েছে।
আপনার বিজ্ঞাপন এখানে