কক্সবাজারে কোনো হোটেল বাপ্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নদী ও পরিবেশদূষণের অভিযোগ প্রমাণিত হলে শুধু জরিমানানয়, বরং তা বন্ধকরে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াতহোসেন। শনিবার কক্সবাজারে একটি বিশেষ সমন্বয়সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদেরএই নির্দেশনা দেন।
বাঁকখালী নদী রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ
বাঁকখালী নদীকে দূষণ ও দখলমুক্তকরার লক্ষ্যে হাইকোর্টের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে এই সভার আয়োজনকরা হয়। নৌপরিবহন উপদেষ্টাজানান, হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় হাতে পাওয়ারপর বাঁকখালী নদীর দখলদারদের সমন্বিততালিকা ধরে উচ্ছেদ অভিযানচালানো হবে। সভায় বাংলাদেশঅভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ, জেলা প্রশাসন, কক্সবাজারউন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এবং পরিবেশ অধিদপ্তরসহবিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
হাইকোর্টের নির্দেশনা
গত ২৪ আগস্টহাইকোর্ট এক আদেশে জানান, কক্সবাজারের প্রধান নদী বাঁকখালীর বর্তমানপ্রবাহ ও আরএস জরিপেরমাধ্যমে সীমানা নির্ধারণ করে নদীটিকে সংরক্ষণকরতে হবে। একই সঙ্গে, নদীর সীমানায় থাকা সব দখলদারেরতালিকা তৈরি করে আগামীচার মাসের মধ্যে উচ্ছেদ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণেযথাযথ ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়াহয়েছে। এই নির্দেশনার একসপ্তাহের মধ্যেই নৌপরিবহন উপদেষ্টা কক্সবাজার সফরে এসে এইবিষয়ে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণেরকথা জানালেন।
আপনার বিজ্ঞাপন এখানে