নীলফামারীর উত্তরা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (ইপিজেড)-এ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে শ্রমিকদের সংঘর্ষে একজন শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আরও ৮ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। নিহত শ্রমিকের নাম হাবিব ইসলাম (২০), যিনি ইপিজেডের ইকো কোম্পানিতে কাজ করতেন। হাবিব নীলফামারী সদর উপজেলার বাসিন্দা।
অস্থির পরিস্থিতি ও সংঘর্ষের কারণ
গত চার দিন ধরে নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেড ছিল উত্তপ্ত। এভারগ্রিন প্রোডাক্টস ফ্যাক্টরি (বিডি) লিমিটেডের শ্রমিকরা ২০ দফা দাবি নিয়ে আন্দোলন করছিলেন। তাদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—উৎপাদন টার্গেট কমানো, ওভারটাইম ও ছুটি নিশ্চিত করা, বেতন-ভাতা সময়মতো পরিশোধ, এবং শ্রমিকদের ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন বন্ধ করা।
শ্রমিকদের এই টানা আন্দোলনের কারণে সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) কর্তৃপক্ষ অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধ ঘোষণা করে। মঙ্গলবার সকালে শ্রমিকরা বিক্ষোভে নামলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ শুরু হয়। পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে এবং শ্রমিকরা ইটপাটকেল ছুড়ে জবাব দেয়। বর্তমানে পরিস্থিতি থমথমে এবং ইপিজেডজুড়ে বিজিবি, সেনাবাহিনী ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আহত শ্রমিকদের মধ্যে কয়েকজনকে নীলফামারী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে নীলফামারী সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
আপনার বিজ্ঞাপন এখানে