জাতীয় নির্বাচন কোনো ব্যক্তি বা দলের ইচ্ছায় বন্ধ হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, “নির্বাচন যথাসময়ে এবং সুষ্ঠুভাবেই অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন নিয়ে যারা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে, তাদের জন্য এই বার্তা স্পষ্ট।”
বুধবার রাজধানীতে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের ‘ইউ পেনশন’ মোবাইল অ্যাপ উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করতে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। বিশেষ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে লজিস্টিকসহ বিভিন্ন সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “কে কী বলল, তা শুনে নির্বাচন বন্ধ হবে না। গণতন্ত্র রক্ষা ও জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে এই সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কালো টাকার প্রভাব ঠেকাতে অর্থ মন্ত্রণালয় নির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেবে, তবে রাজনৈতিক নেতাদেরও এখানে দায়িত্ব রয়েছে।”
অনুষ্ঠানে সর্বজনীন পেনশন স্কিম প্রসঙ্গে ড. সালেহউদ্দিন বলেন, “এই স্কিমে এখনো সব পেশাজীবী- বিশেষ করে চাকরিজীবী ও শিক্ষকরা যথেষ্ট অংশ নিচ্ছেন না। এটি কেন ঘটছে, মানুষের অনীহা কোথায়, তা বিশ্লেষণ করা জরুরি।”
তিনি জানান, “যদি কোথাও ত্রুটি বা দুর্বলতা থেকে থাকে, তা সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হবে। সরকারি কর্মচারী ও শিক্ষকদের এই পেনশন ব্যবস্থার আওতায় আনার বিষয়টি সরকার গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে।”
সর্বজনীন পেনশন স্কিম বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির ওপর জোর দিয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “এই ব্যবস্থাটি দেশের সব নাগরিকের জন্য একটি টেকসই সামাজিক নিরাপত্তা গড়ে তুলতে পারে। তাই এটি সম্পর্কে সঠিক প্রচার ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।”
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, নতুন চালু হওয়া ‘ইউ পেনশন’ অ্যাপের মাধ্যমে যে কেউ ঘরে বসে মোবাইল থেকেই সর্বজনীন পেনশনে অংশ নিতে পারবেন। নিবন্ধন, তথ্য যাচাই, নোটিফিকেশন পাওয়া, এমনকি নমিনি পরিবর্তনসহ যাবতীয় কার্যক্রম এই অ্যাপেই সম্পন্ন করা যাবে।
সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় চারটি পৃথক স্কিম রয়েছে- প্রবাস স্কিম, প্রগতি স্কিম, সুরক্ষা স্কিম ও সমতা স্কিম। এই ব্যবস্থার মাধ্যমে দেশের প্রত্যেক নাগরিকের জন্য একটি নির্ভরযোগ্য ও রাষ্ট্রীয় অবসরভাতা কাঠামো গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়েই এগোচ্ছে সরকার।
আপনার বিজ্ঞাপন এখানে