নোবেল পুরস্কার না পাওয়ার দিনেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আবারও যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনের বিরল খনিজ রপ্তানিতে নতুন নিষেধাজ্ঞার জবাবে তিনি ঘোষণা দিয়েছেন—চীনা পণ্যের ওপর ১০০ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করবেন যুক্তরাষ্ট্র। পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ সফটওয়্যার রপ্তানিতেও কড়া নিয়ন্ত্রণ আনতে যাচ্ছেন তিনি।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (১১ অক্টোবর) নিজের সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যাল-এ দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন,
“চীন যেহেতু এক নজিরবিহীন অবস্থান নিয়েছে, তাই যুক্তরাষ্ট্র বাধ্য হচ্ছে পদক্ষেপ নিতে। আগামী ১ নভেম্বর ২০২৫ থেকে (অথবা এর আগেও যদি চীন নতুন কোনো পদক্ষেপ নেয়), চীনের সব পণ্যের ওপর বর্তমান শুল্কের পাশাপাশি অতিরিক্ত ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে।”
তিনি আরও বলেন,
“একই দিনে সফটওয়্যার রপ্তানিতেও কঠোর নিয়ন্ত্রণ কার্যকর হবে। বিশ্বাস করা কঠিন যে চীন এমন পদক্ষেপ নেবে, কিন্তু তারা নিয়েছে—এবং ইতিহাস সেটিই মনে রাখবে।”
এর আগে, চীনের সিদ্ধান্তকে “অগ্রহণযোগ্য” আখ্যা দিয়ে ট্রাম্প জানান, এই অবস্থায় প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে আসন্ন এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশন (APEC) সম্মেলনের প্রান্তে নির্ধারিত বৈঠকের আর কোনো প্রয়োজন নেই।
অন্যদিকে, চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জাতীয় নিরাপত্তা ও স্বার্থ রক্ষায় নতুন নিয়মের আওতায় বিরল খনিজ সম্পর্কিত প্রযুক্তি—যেমন খনি উত্তোলন, গলন, পৃথকীকরণ, চুম্বকীয় উপাদান উৎপাদন ও পুনর্ব্যবহার—সরকারি অনুমতি ছাড়া আর রপ্তানি করা যাবে না।
রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমস জানিয়েছে, এই প্রযুক্তি বা তথ্য বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে ভাগাভাগি করা কিংবা যৌথভাবে ব্যবহার করাও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের এপ্রিলেই চীন প্রথমবারের মতো বিরল খনিজ রপ্তানিতে সীমাবদ্ধতা আরোপ করেছিল, যা বৈশ্বিক বাজারে ঘাটতি সৃষ্টি করে। পরবর্তীতে ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নতুন সমঝোতার মাধ্যমে সীমিত আকারে রপ্তানি পুনরায় চালু হয়।
আপনার বিজ্ঞাপন এখানে