70°F শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
মেনু

ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা অধ্যাদেশ নিয়ে বিভ্রান্তি না ছড়ানোর আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবের

Online Desk, Boston Bangla

প্রকাশ: ১২ অক্টো ২০২৫ | নিউজটি দেখেছেন: ৩৮
ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা অধ্যাদেশ নিয়ে বিভ্রান্তি না ছড়ানোর আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবের

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত) ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যেন ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা অধ্যাদেশ নিয়ে কোনো ধরনের বিভ্রান্তি না ছড়ানো হয়।

রবিবার (১২ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আইসিটি ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, অতীতে অযাচিত আইন প্রণয়নের কারণে মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা হুমকির মুখে পড়েছিল, এমনকি অনেক সময় ভুয়া তথ্য ব্যবহার করে সাধারণ মানুষকে হয়রানির শিকারও হতে হয়েছে।

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ সম্প্রতি ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা অধ্যাদেশ, জাতীয় উপাত্ত ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ এবং সাইবার সুরক্ষা (সংশোধিত) অধ্যাদেশ ২০২৫ প্রণয়ন করেছে। এই নীতিমালাগুলো উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদন পেয়েছে, যা দেশের তথ্য নিরাপত্তা ও ডিজিটাল কাঠামোকে আরও শক্তিশালী করবে।

তিনি বলেন, বিদেশি প্রযুক্তিনির্ভর কাঠামোর সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায়—বাংলাদেশ অন্তত ২০ থেকে ২৫ বছর পিছিয়ে আছে। এই অধ্যাদেশগুলো বাস্তবায়ন হলে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার সুযোগ তৈরি হবে এবং নাগরিক তথ্য ব্যবস্থাপনায় এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।

ফয়েজ আহমদ আরও বলেন, “দেশে আইনের শাসনের পাশাপাশি তার কার্যকর প্রয়োগও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মধ্যে প্রযুক্তি ব্যবহারে সমন্বয়ের অভাব থাকায় অর্থের অপচয় ঘটে, তাই এই আইনগুলোর মাধ্যমে সেই অপচয় রোধ ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব হবে।”

আলোচনায় তিনি জোর দিয়ে বলেন, নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা, প্রতিষ্ঠানগুলোর জবাবদিহিতা ও ডিজিটাল অবকাঠামোর সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এই অধ্যাদেশগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব পরিষ্কারভাবে জানান, “যৌক্তিক সমালোচনা আমরা সবসময়ই স্বাগত জানাই, তবে অযৌক্তিক মন্তব্য বা গুজব ছড়িয়ে সরকারের অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।”

তিনি আরও আহ্বান জানান, “এই আইনের উদ্দেশ্য নাগরিক অধিকার ও তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, বিভ্রান্তি তৈরি করা নয়।”