তিন দফা দাবিতে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এবং অন্যান্য বেসরকারি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দ্বিতীয় দিনের মতো রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছেন। আজ (২৭ আগস্ট) বেলা ১১টা থেকে শিক্ষার্থীরা শাহবাগের মূল সড়কে অবস্থান নেন, যার ফলে আশপাশের এলাকায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে।

শিক্ষার্থীদের প্রধান তিনটি দাবি হলো:

১. সহকারী প্রকৌশলী পদে নিয়োগ: নবম গ্রেড বা সহকারী প্রকৌশলী পদে নিয়োগের জন্য সবাইকে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। এই পদে আবেদনের জন্য ন্যূনতম যোগ্যতা হিসেবে বিএসসি ডিগ্রিধারী হতে হবে। কোটার মাধ্যমে বা সমমানের পদ সৃষ্টি করে পদোন্নতি দেওয়া যাবে না।

২. উপসহকারী প্রকৌশলী পদে উন্মুক্ত নিয়োগ: দশম গ্রেড বা উপসহকারী প্রকৌশলী পদে ডিপ্লোমাদের জন্য নির্ধারিত ১০০ শতাংশ কোটা বাতিল করতে হবে। এই পদে আবেদনের জন্য ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং-কে ন্যূনতম যোগ্যতা হিসেবে নির্ধারণ করে বিএসসি বা এমএসসি ডিগ্রিধারীদেরও আবেদন করার সুযোগ দিতে হবে।

৩. ‘ইঞ্জিনিয়ার’ পদবি ব্যবহার: বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি ছাড়া কেউ যেন ‘ইঞ্জিনিয়ার’ পদবি ব্যবহার করতে না পারেন, সে জন্য কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় বুয়েট শিক্ষার্থীরা প্রথম দিনের মতো শাহবাগ অবরোধ শুরু করেন। পরে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও তাদের সাথে যোগ দেন। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা অবরোধের পর তারা রাত ৮টায় শাহবাগ ত্যাগ করেন। একই দিনে বনানীতে পোশাক শ্রমিক ও গাবতলীর টেকনিক্যাল মোড়ে আরেকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অবরোধের কারণে পুরো রাজধানীতে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছিল।

আন্দোলনকারী এক শিক্ষার্থী গণমাধ্যমকে বলেন, তারা শাহবাগ অবরোধের মাধ্যমে তাদের দাবি আদায়ের জন্য সরকারকে চাপ দিচ্ছেন এবং প্রয়োজনে আন্দোলন অন্য দিকেও ছড়িয়ে দিতে পারেন। এই চলমান অবরোধের কারণে সাধারণ মানুষকে ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।