বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩১ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নির্ধারিত হিসাব পদ্ধতি—ব্যালান্স অব পেমেন্টস অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট পজিশন ম্যানুয়াল (বিপিএম৬)—অনুসারে রিজার্ভের পরিমাণ কিছুটা কম, যা বর্তমানে ২৬ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলার।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রিজার্ভের এ পার্থক্য মূলত বিভিন্ন বৈদেশিক ব্যয়, এলসি পেমেন্ট, রপ্তানির আগাম অর্থ পরিশোধ ও বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ ইত্যাদি কারণে হয়ে থাকে। বিপিএম৬ পদ্ধতি অনুসারে যে সব অর্থ ব্যবহারযোগ্য বা তরল রয়েছে শুধু সেটিই রিজার্ভ হিসেবে বিবেচনায় নেওয়া হয়। অন্যদিকে, প্রচলিত পদ্ধতিতে মোট রিজার্ভের মধ্যে স্বর্ণ, রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলসহ অন্যান্য অনুৎপাদনশীল সম্পদও অন্তর্ভুক্ত থাকে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগ বলছে, রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্স প্রবাহ স্থিতিশীল থাকায় রিজার্ভে কোনো বড় ধরনের চাপ নেই। তবে আগামী মাসগুলোতে আমদানি ব্যয় ও ঋণ পরিশোধের চাপ বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ প্রেক্ষাপটে রিজার্ভ ব্যবস্থাপনায় আরও সতর্ক ও পরিকল্পিত পদক্ষেপ গ্রহণ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বিশেষজ্ঞদের মতে, রিজার্ভের হিসাব উপস্থাপনে স্বচ্ছতা বাড়াতে বিপিএম৬ পদ্ধতির অনুসরণ গুরুত্বপূর্ণ। এতে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর আস্থা বাড়ে এবং বৈদেশিক অর্থনৈতিক সহযোগিতায় ইতিবাচক প্রভাব পড়ে।
আপনার বিজ্ঞাপন এখানে