বস্টন বাংলা অনলাইন ডেস্ক
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ২০২৫ সালের Trafficking in Persons (TIP) Report অনুসারে, বাংলাদেশ মানবপাচার প্রতিরোধে উল্লেখযোগ্য ও ধারাবাহিক প্রচেষ্টা চালিয়ে গেলেও রায় ও বিচার প্রক্রিয়ার ঘাটতি ও অভ্যন্তরীণ পাচারে চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে।
সার্বিক মূল্যায়ন ও টিয়ার
২০২৫ সালের TIP প্রতিবেদনে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর জানায় যে বাংলাদেশ টিয়ার‑২ অবস্থানে রয়েছে — অর্থাৎ দেশটি ন্যূনতম আন্তর্জাতিক মানদণ্ড পুরোপুরি অর্জন করতে না পারলেও, ‘সংখ্যাত্মক ও ধারাবাহিক প্রচেষ্টা’ চালিয়ে যাচ্ছে।
অগ্রগতি ও চেষ্টা
• ভুক্তভোগী শনাক্তকরণ বৃদ্ধি: ২০২৫ সালে বাংলাদেশ ১,৪৬২ জন ভুক্তভোগী শনাক্ত করেছে, যা আগের বছরের তুলনায় বেশি।
• প্রশিক্ষণ ও সক্ষমতা বৃদ্ধি: সীমান্ত, পুলিশ ও শ্রম কর্মকর্তাদের ট্রমা-ইনফর্মড কেয়ার প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।
• ন্যাশনাল রেফারাল মেকানিজম (NRM) আনুষ্ঠানিকভাবে গৃহীত হয়েছে।
• প্রতিরোধমূলক প্রচারণা ও নীতি উদ্যোগ: সচেতনতা বৃদ্ধি, শ্রমিক সুরক্ষা এবং নতুন পরিকল্পনা।
চ্যালেঞ্জ ও ঘাটতি
• তদন্ত ও দণ্ডাদেশের সংখ্যা কমেছে।
• অভ্যন্তরীণ যৌন পাচার ও জোরপূর্বক শ্রম মোকাবিলায় ঘাটতি রয়ে গেছে।
• রোহিঙ্গা ও বিদেশি ভুক্তভোগীদের সুরক্ষা অপর্যাপ্ত।
• তথ্য ও প্রমাণ সংগ্রহ প্রক্রিয়া দুর্বল।
পরিসংখ্যান সংক্ষেপ
বিষয়
সংখ্যা / তথ্য/ মন্তব্য
ভুক্তভোগী শনাক্ত
১,৪৬২ জন
আগের বছরে ১,২১০ জন
যৌন পাচার
১৪৪ জন
প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী
জোরপূর্বক শ্রম
২৮৫ জন
সরকারি প্রতিবেদনে
অনির্দিষ্ট পাচার
১,০৩৩ জন
TIP রিপোর্ট ২০২৫
দোষী সাব্যস্ত
১০৩ জন
বিচারিক প্রক্রিয়ায় হ্রাস
প্রধান সুপারিশ
• তদন্ত ও মামলা বৃদ্ধি এবং জবাবদিহি নিশ্চিত করা।
• রোহিঙ্গা ও বিদেশি ভুক্তভোগীদের জন্য সুরক্ষা সেবা বাড়ানো।
• শ্রমিকদের নিয়োগ ফি বাতিল ও দালালচক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা।
• ন্যাশনাল অ্যাকশন প্ল্যান (NAP) আপডেট ও বাস্তবায়ন।
• অভ্যন্তরীণ যৌন ও শ্রম পাচার প্রতিরোধে বিশেষ মনোযোগ।
আপনার বিজ্ঞাপন এখানে