মালদ্বীপে কর্মরত বাংলাদেশিদের জন্য এসেছে স্বস্তির খবর। প্রবাসীদের প্রয়োজনীয় সরকারি সেবা সহজে পৌঁছে দিতে দেশটিতে ভ্রাম্যমাণ কনস্যুলার সেবা চালু করেছে বাংলাদেশ হাইকমিশন।
এই উদ্যোগের আওতায় ১১ থেকে ১৪ সেপ্টেম্বর গাফ ঢাল এটলের থিনাধু দ্বীপে সেবা প্রদান করেছে একটি পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল, যার নেতৃত্বে ছিলেন ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার মো. সোহেল পারভেজ।
দলের অন্য সদস্যরা হলেন তৃতীয় সচিব মো. জিল্লুর রহমান, প্রশাসনিক কর্মকর্তা শিরিন ফারজানা, কল্যাণ সহকারী আল মামুন পাঠান এবং কনস্যুলার সহকারী এবাদ উল্লাহ।
প্রসঙ্গত, থিনাধু দ্বীপটি রাজধানী মালে থেকে প্রায় ৪৬৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এবং সরাসরি বিমানবন্দর না থাকায় প্রতিনিধি দলকে স্থানীয় বিমান ও নৌপথে পাড়ি জমাতে হয়েছে।
১২ ও ১৩ সেপ্টেম্বর আয়োজিত এই দুই দিনের ক্যাম্পে প্রায় ২,০০০ প্রবাসী বাংলাদেশি সেবা গ্রহণ করেন, যার মধ্যে ছিল ই-পাসপোর্ট ও এমআরপি এনরোলমেন্ট, এবং ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের সদস্য কার্ড প্রদান। প্রবাসীদের মতে, এই সেবা সময় ও খরচ—দু’টোতেই সাশ্রয় এনে দিয়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাইকমিশনার সোহেল পারভেজ বলেন, “প্রবাসীরা বাংলাদেশের অর্থনীতির একটি প্রধান চালিকাশক্তি। তাই বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠানো, কল্যাণ বোর্ডের কার্ড গ্রহণ, স্থানীয় আইন মেনে চলা এবং সুস্থ জীবনযাপন—এসব বিষয়ে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।”
তিনি প্রবাসীদের মাদক, অবৈধ ব্যবসা এবং দালাল চক্র থেকে দূরে থাকারও পরামর্শ দেন।
সফরের সময় প্রতিনিধি দলটি থিনাধু সিটি কাউন্সিলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে। এ সময় তারা অবৈধভাবে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের বৈধতা প্রদান ও সহায়তা নিয়ে আলোচনা করেন, যার প্রেক্ষিতে কাউন্সিল সহযোগিতার আশ্বাস দেয়।
আপনার বিজ্ঞাপন এখানে