তানজানিয়ার নর্থ মারা—নামে খনি, কাজে কবর। স্বর্ণের লোভে দেশের পকেট ভারী হলেও স্থানীয়দের জন্য যেন শুরু হয়েছে এক দীর্ঘ মৃত্যুমিছিল।
মাটির নিচে সোনা, ওপরে দমন-পীড়ন। চামা চা মাপিন্দুজি সরকারের ‘গণতন্ত্র’ চলছে পুলিশের বুলেট আর অপহরণের ভয় নিয়ে। যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যমে উঠে এসেছে নিয়ামঙ্গো গ্রামের চাচার কাহিনি—রাতে অপহরণ, কুমিরভরা নদীতে উল্টো ঝুলিয়ে জেরা, আর এখনো বয়ে বেড়াচ্ছেন নির্যাতনের ক্ষত।
মানবাধিকার সংস্থার হিসাব বলছে, ২০০৬ থেকে এখন পর্যন্ত ৯৬ জন নিহত, অসংখ্য আহত, অনেকেই নিখোঁজ। পুলিশি পাহারায় খনি—আর গরিব মানুষদের দিকে তাক করা বন্দুক। বর্জ্যের ভেতর সোনা খুঁজলেই ‘চোর’ বানিয়ে গুলি!
বড় বড় বিদেশি কোম্পানি যেমন কানাডার ব্যারিক মাইনিং খনি চালায়, তেমনই বড় বড় কথা বলে—উন্নয়ন হয়েছে, রাস্তা হয়েছে, পানি এসেছে! কিন্তু গ্রামের মানুষ বলছে: উন্নয়ন গেছে খনির নিচে চাপা।
বিরোধী দল চাদেমা? লিসু জেলে, বাকিরা জীবনের ভয় নিয়ে পালায়। সরকার কী করে? স্বর্ণের টাকায় কিনছে অস্ত্র, চালাচ্ছে দমননীতি।
সব মিলিয়ে নর্থ মারা এখন স্বর্ণের খনির বদলে ‘মৃত্যুর খনি’। ক্ষুধা, কান্না আর শোকই এখন সোনার আসল মূল্য।
আপনার বিজ্ঞাপন এখানে