আগামী মাসে জাপানে যৌথ সামরিক মহড়ার সময় যুক্তরাষ্ট্রের 'টাইফুন' নামক মধ্যম পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছে রাশিয়া ও চীন। উভয় দেশই এই পদক্ষেপকে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি হিসেবে দেখছে এবং জাপানকে এর পরিণতি সম্পর্কে সতর্ক করেছে।
রাশিয়ার হুঁশিয়ারি: সরাসরি কৌশলগত হুমকি
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা এই পদক্ষেপকে 'অস্থিতিশীল' আখ্যা দিয়ে বলেন, এটি ওয়াশিংটনের ভূমি থেকে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতা বাড়ানোর নীতির অংশ। তিনি আরও বলেন, জাপানে বা রাশিয়ার কাছাকাছি এলাকায় টাইফুন ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করা মস্কোর জন্য সরাসরি কৌশলগত হুমকি। রুশ মুখপাত্র সতর্ক করে দেন যে জাপান যদি এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে না আসে, তবে রাশিয়া 'উপযুক্ত সামরিক প্রযুক্তিগত ব্যবস্থা' নিতে বাধ্য হবে এবং পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে তার সম্পূর্ণ দায়ভার জাপানকেই বহন করতে হবে।
চীনের বিরোধিতা: শান্তির জন্য হুমকি
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গুয়ো জিয়াকুন জানান, যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের উচিত আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষা করা, তা নষ্ট করা নয়। তিনি বলেন, এশিয়ার কোনো দেশে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যম পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের তারা সবসময় বিরোধিতা করে আসছেন। গুয়ো জাপানকে তার আগ্রাসনের ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে শান্তিপূর্ণ উন্নয়নের পথে চলার এবং সামরিক বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান। তিনি যুক্তরাষ্ট্রকেও আহ্বান জানান, যাতে তারা উল্টো পথে না গিয়ে সঠিক কাজে বেশি শ্রম ও সম্পদ ব্যয় করে।
সামরিক মহড়ার বিস্তারিত
সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানায়, টাইফুন ব্যবস্থাটি মূলত এশিয়ায় জাহাজবিধ্বংসী অস্ত্র মোতায়েনের বৃহত্তর মার্কিন পরিকল্পনার অংশ। এই ক্ষেপণাস্ত্রটির পাল্লা প্রায় ৪৮০ কিলোমিটার। এটি জাপানের হনশু দ্বীপের আইওয়াকুনি শহরের মার্কিন মেরিন বিমান ঘাঁটিতে রাখা হবে। তবে, আগামী ১১ থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠিতব্য 'রিজলিউট ড্রাগন' নামের সামরিক মহড়ায় এই ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হবে কিনা, তা এখনো স্পষ্ট নয়। এর আগে ২০২৪ সালে ফিলিপাইনে প্রথমবার এই ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করা হলে চীন তখন তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল।
আপনার বিজ্ঞাপন এখানে