ইরান-সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীদের প্রধানমন্ত্রী আহমেদ আল-রাহাভি ইসরায়েলের বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম। আল-জুমহুরিয়া চ্যানেল ও আদেন আল-গাদ পত্রিকার খবর অনুযায়ী, ইয়েমেনের রাজধানী সানায় এই হামলায় আল-রাহাভি এবং তার বেশ কয়েকজন ঘনিষ্ঠ সহযোগী প্রাণ হারিয়েছেন। তবে, ইসরায়েলের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে এই খবরের সত্যতা নিশ্চিত করা হয়নি।
হামলায় লক্ষ্যবস্তু ছিল হুতি শীর্ষনেতাদের বৈঠক
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই হামলাটি ছিল হুতি নেতাদের একটি শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠককে লক্ষ্য করে। ওই বৈঠকে হুতিদের প্রতিরক্ষামন্ত্রীসহ অন্তত ১০ জন মন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন। লক্ষ্যবস্তুদের মধ্যে ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোহাম্মদ নাসের আল-আত্তাফি এবং সেনাবাহিনীর চিফ অব স্টাফ মোহাম্মদ আল-ঘামারি। আল-আত্তাফিকে হুতিদের সামরিক কাঠামোর সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তি হিসেবে ধরা হয়। তিনি ইরান ও হিজবুল্লাহর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন এবং সরাসরি ইসরায়েলবিরোধী অভিযানে জড়িত ছিলেন। অন্যদিকে, আল-ঘামারি গত জুনে ইসরায়েলি হামলায় গুরুতর আহত হলেও বেঁচে গিয়েছিলেন।
ইয়েমেনে ইসরায়েলের ১৬তম হামলা
ইসরায়েলের চ্যানেল ১২ জানিয়েছে, তারা গত রবিবার সানায় হামলার প্রস্তুতি নিয়েছিল, তবে বৃহস্পতিবার তা কার্যকর করা হয়। হুতিদের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় অবশ্য দাবি করেছে যে হামলায় কোনো নেতা নিহত হননি, বরং ইসরায়েল গাজার পক্ষে অবস্থান নেওয়ার কারণে সাধারণ মানুষকে লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালাচ্ছে। এটি চলতি যুদ্ধে ইয়েমেনে ইসরায়েলের ১৬তম আক্রমণ। ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে হুতিরা ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো শুরু করে। হুতিদের স্লোগান হলো—‘আমেরিকার মৃত্যু হোক, ইসরায়েলের মৃত্যু হোক, ইহুদিদের ওপর অভিশাপ।’ গত বছরের জুলাইয়ে হুতিদের একটি ক্ষেপণাস্ত্র তেল আবিবে এক বেসামরিক নাগরিককে নিহত করার পর ইয়েমেনে প্রথম ইসরায়েলি বিমান হামলা চালানো হয়েছিল।
আপনার বিজ্ঞাপন এখানে