গাজায় ইসরায়েলের চলমান সামরিক অভিযানের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সৌদি আরব, কাতার ও চীন। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দেওয়া একাধিক বিবৃতিতে তারা সতর্ক করেছে—এই হামলা কেবল আন্তর্জাতিক আইনকেই ভঙ্গ করছে না, বরং পুরো অঞ্চলের স্থিতিশীলতাকে হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে।
সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী যে অব্যাহতভাবে বেসামরিক মানুষের ওপর হামলা চালাচ্ছে, তা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ব্যর্থতার প্রতিচ্ছবি। তাদের মতে, বিশ্ব শক্তিগুলো এখনো পর্যন্ত এই সংঘাত থামাতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারেনি। রিয়াদ জোর দিয়ে বলেছে, মানবাধিকারকে উপেক্ষা করা যেকোনো কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে তারা অবস্থান নেবে এবং গাজায় সহিংসতা বন্ধে দ্রুত আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ জরুরি।
কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও একই সুরে কঠোর সমালোচনা করেছে ইসরায়েলের স্থল অভিযানের। দোহা বলেছে, এটি নিছক সামরিক অভিযান নয়—এটি ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধেরই সম্প্রসারিত রূপ এবং স্পষ্টভাবে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের শামিল। কাতার সতর্ক করে দিয়েছে, ইসরায়েলের এসব কর্মকাণ্ড শান্তির সম্ভাবনাকে ধ্বংস করছে এবং এর পেছনে রয়েছে দখলদারিত্ব, আগ্রাসন ও বর্ণবাদী নীতি। তারা আবারও পুনর্ব্যক্ত করেছে—১৯৬৭ সালের সীমানা মেনে পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে তাদের অবস্থান।
অন্যদিকে, বেইজিংয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিন জিয়ান জানিয়েছেন, গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের বৃদ্ধিকে চীন দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করছে। তিনি বলেন, বেসামরিক নাগরিকদের ক্ষতি করে এমন প্রতিটি হামলা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের সমান এবং চীন এ ধরনের কর্মকাণ্ডের কড়া নিন্দা জানায়।
তিন দেশের এই অবস্থান স্পষ্টভাবে ইঙ্গিত দিচ্ছে, গাজায় চলমান পরিস্থিতি কেবল মধ্যপ্রাচ্যের নয়, বরং বৈশ্বিক উদ্বেগের এক কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে।
আপনার বিজ্ঞাপন এখানে