যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আসন্ন বৈঠকের আগে, ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের বিষয়ে নিজেদের অবস্থান আরও কঠোর করেছে সৌদি আরব।
সম্প্রতি ট্রাম্প এক সাক্ষাৎকারে বলেন, তিনি আশা করছেন সৌদি আরব খুব শিগগিরই আব্রাহাম চুক্তিতে যোগ দেবে, যেখানে ২০২০ সালে কয়েকটি মুসলিম দেশ ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেছিল। তবে কূটনৈতিক সূত্রগুলোর মতে, ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের আসন্ন হোয়াইট হাউস সফরে এমন কোনো বড় অগ্রগতি দেখা যাবে না।
বিশ্লেষকরা বলছেন, যদি সৌদি আরব ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করে, তাহলে মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনীতি ও নিরাপত্তা ভারসাম্যে বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে। একই সঙ্গে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব আরও শক্তিশালী হতে পারে বলেও মনে করছেন অনেকে।
তবে রিয়াদ স্পষ্ট করে দিয়েছে—প্যালেস্টাইনের স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিষয়ে সুস্পষ্ট রূপরেখা না আসা পর্যন্ত ইসরায়েলের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ সম্ভব নয়। উপসাগরীয় অঞ্চলের দুই কূটনৈতিক সূত্র রয়টার্সকে জানায়, এই অবস্থান মূলত যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার আগে দুই দেশের নীতিগত অবস্থান পরিষ্কার করা এবং বিভ্রান্তি এড়ানোর উদ্দেশ্যে নেওয়া হয়েছে।
মার্কিন জাতীয় গোয়েন্দা পরিষদের সাবেক উপপরিচালক জোনাথন প্যানিকফ বলেন,
“ক্রাউন প্রিন্স সালমান আপাতত ইসরায়েলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক স্থাপনে আগ্রহী নন, যদি না প্যালেস্টাইনের স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের একটি বিশ্বাসযোগ্য পথ নিশ্চিত করা যায়।”
তিনি আরও যোগ করেন,
“এমবিএস আসন্ন বৈঠকে ট্রাম্পের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে প্যালেস্টাইনের জন্য আরও শক্ত ও প্রকাশ্য সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করবেন।”
সূত্র: রয়টার্স
আপনার বিজ্ঞাপন এখানে